নাটকটি দেখেছি ইউটিউব এ এই লিঙ্ক এ অনেক আগের নাটক হওয়ায় প্রিন্ট ঝকঝকে আশা করা বোকামি।
নাটকের শুরুতেই দেখানো হয় মোনা একটি অফিস এ কাজ করছে টাইপিস্ট হিসেবে। এ চরিত্রে অভিনয় করেছে সুবর্ণা মোস্তফা। অত্যন্ত প্রাঞ্জল অভিনয় করে মোনা চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। মোনা ইনডিপেন্ডেন্ট তরুণী যে মামার বাসায় থাকে, চাকরি করে, মামি অসুস্থ হওয়ায় সংসার এর কাজ কর্মের ভারও তার উপর।
বাকের ভাই চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছেন আসাদুজ্জামান নুর। তার স্টাইল, কথার মাঝে ইংরেজি বলার ভঙ্গিমা, হাতের চেইন ঘোরানো , সান গ্লাস পরিধান , বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এক কোথায় তাক লাগান। সে পাড়ার দোকানে দুই সাগরেদ বদি ও আরেকজন কে নিয়ে আড্ডা মারে । বদি চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন আব্দুল কাদের। সে বাকের ভাই এর অনুকরন করে সবসময় । বাকের ভাই এর এলাকায় বিশাল দাপট। ছিচকে সন্ত্রাসী মতি কে রেগ দেয় সে ।মতি চরিত্রে আছে মাহফুজ আহমেদ !
মতি বাকের ভাইয়ের পা ছুঁচ্ছে
মোনার মামার দুই মেয়ে এক ছেলে। বড় মেয়ে আফসানা মিমি আর ছোট মেয়ে শিলা আহমেদ( হুমায়ুন আহমেদ এর মেয়ে) । স্ত্রী লাকি আনাম অসুস্থ থাকে সব সময়। বাবা মাসুদ আলি খান বৃদ্ধ ও চোখে কম দেখে। বাকের ভাই নানা ভাবে মোনাকে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করে, কিন্তু অতিশয় কনফিডেন্ট মোনা তাকে ভাও দেয় না বরং মাঝে মাঝে তাচ্ছিল্য করে ।
তখন যানা যায় মোনার একজন বয় ফ্রেন্ড আছে , তাদের বিয়েও মোটামুটি ঠিক কিন্তু সে চাকরি না পাওয়ায় বিয়ে হেংগ হয়া আছে । বয় ফ্রেন্ড মামুন চরিত্রে অভিনয় করেছে খাইরুল আনাম সবুজ। সবুজ টিউশানি করে চলে এবং মোটামুটি ফ্রাস্টেটেড। তার ছাত্রী ধনী পরিবারের মেয়ে বিজরি বরকতুল্লাহ সবুজের প্রতি দুর্বল।
মোনার মামা সব সময় খিটখিটে। বাচ্চাদের কড়া শাসন করে, স্ত্রীর সাথে রুঢ়।
পাড়ায় এক বাড়িতে তিন মেয়ে নিয়ে থাকে রহস্যময় এক মহিলা।তার আছে একটা বিদেশি কুকুর।কুত্তাওালি বলে ডাকে তাকে বাকের ভাই।
সেই বাড়ির দারোয়ানের মাথা কামাইয়া রেগ দেয় বাকের ভাই।
তিন মেয়ের একজন তমালিকা কর্মকার। সে অপ্রকৃতিস্থ আচরন করে। বাড়িতে আনাগোনা করে বয়েসি পুরুষ মানুষ। নানা কারনে বাকের ভাইয়ের সাথে দ্বন্দ্ব বাধে কুত্তাওয়ালীর।
অন্যদিকে, বিজরীর রেফারেঞ্চে সবুজ একটা ভাল চাকরি পায়। সুবর্ণা ও সবুজের বিয়ে এবার কে ঠেকায়?
হঠাৎ একদিন স্কুল থেকে আশার সময় আফসানা মিমি ও শিলা আহমেদ দেখতে পায় তাদের বাবা অফিস না গিয়ে পার্কে বসে থাকে।
পরে জানা যায় অফিসে তিন লাখ টাকা গরমিল হওয়ায় তার চাকরি চলে গেছে।
কিছু দিনের মধ্যেই পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়।এই নিয়ে পরিবারের সবাই খুবই বিচলিত। মোনা অসহায়ের মত থানায় বসে আছে।
এমন সময় মামার এই অবস্থার কথা শুনে থানায় আসে বাকের ভাই । মোনা ও বাকের ভাই যায় নামকরা উকিল হুমায়ুন ফরিদীর কাছে। কিন্তু সে এই ছোট কেইস হাতে নিবে না। নানা ঘটনার পর এই হুমায়ুন ফরিদীই জামিন করায় মোনার মামার।
এদিকে ছাত্রী বিজরী মামুনের অফিসে ফুল নিয়ে আসে , মামুন তাকে মোনার কথা জানায়। অদ্ভুত ভাবে বিজরী কান্না কাটি না করে মামুন কে বলে সে তাদের বিয়ে তে হেল্প করবে।কিন্তু মামার মামলা বিষয়ক ঝামেলা শেষ না হওা পর্যন্ত বিয়ে পেন্ডিং রাখতে চায় মোনা!!
কুত্তা ওয়ালী ছিচকে মাস্তান মতি কে কন্ট্রাক্ট দেয় বাকের ভাই কে মারার জন্য!!!
দুটো প্রশ্ন মনে রেখেই সেহরি খেতে যাই...
মোনার বিয়ে কার সাথে হবে????
মতির হাত থেকে কিভাবে বাচবে বাকের ভাই????
পারফেক্ট কাস্টিং, শক্তিশালী অভিনয়, দুর্দান্ত কাহিনী শৈলী আর হুমায়ুন আহমেদ এর মন্ত্র মুগ্ধকর গল্প নাটকটিকে এগিয়ে নিয়ে যায় চমৎকার ভাবে।নাটকটি দেখতে থাকলে নাটকের গভীরে ডুব দিতে বাধ্য দর্শক। *** একরাতে এতটুকু দেখেছি , রিভিউ না লিখে পারলাম না। এটা আমার প্রথম রিভিউ, ভুলত্রুটি মার্জনীয় চোখে দেখা হবে আশা করি ।
ফেবুতে আমি করসি আত্মগোপন***
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন